ভূমি প্রতারক ইস্রাফিলের নীল নকশায় শেষ রক্ষা হলো না:প্রতারণায় নিজেই ধরা।
- Update Time : ০৪:১২:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
- / ৪৮ Time View

নিজস্ব প্রতিবেদক বাবলু মিয়া.
ঝিনাইদহের মহেশপুরে জমি সংক্রান্ত প্রতারণার নীল নকশা সাজাতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন পল্লী চিকিৎসক ইস্রাফিল। আত্মরক্ষার্থে বোনদের দিয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়েরসহ বিভিন্ন দপ্তরে অপপ্রচার চালালেও শেষ পর্যন্ত তার প্রতারণার কৌশল ফাঁস হয়ে গেছে। সরেজমিনে জানা যায়,মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামের আব্দুল আজিজ ১৯৯০ সালের ২৩ জুন তারিখে ৪৬৮৮ নম্বর দানপত্র দলিলের মাধ্যমে নিজ পুত্র ইস্রাফিলের অনুকূলে ১০৬ নং সড়াতলা মৌজার এসএ ১১৩ খতিয়ানভুক্ত ধানী শ্রেণীর ৪৩৩ দাগে ২৮ শতক জমি দান করেন। কিন্তু তৎকালীন অসম্পূর্ণ মাঠ জরিপে লেখার ভুলে দাগ নং ১৫১ এর স্থলে ২৫১ লিপিবদ্ধ হয়। যদিও খতিয়ান ও অন্যান্য নথিপত্রে সঠিক দাগ নম্বর (১৫১) ছিল,তবুও দলিলে এ ভুল থেকে যায়।পরে ১৯৯৬ সালের ২৫ মে পিতা জীবিত থাকাকালীন একই গ্রামের মৃত মোজাহারের ছেলে রবিউলের মাধ্যমে ইস্রাফিল উক্ত জমি বিক্রি করেন একই গ্রামের আনারুল ইসলাম,ইমদাদুল ইসলাম,কামরুল ইসলাম ও শরিফুল ইসলাম গংদের নিকট ৩১১৮ নম্বর কবলা দলিলের মাধ্যমে। তৎকালীন সময়ে নাম খারিজ ছাড়াই দলিল রেজিস্ট্রেশন হয়ে থাকায় ক্রেতাগণ দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে ভোগদখলে ছিলেন।বর্তমান সরকার নাম খারিজ ও খাজনা পরিশোধের নির্দেশনা জারির পর ক্রেতারা নাম খারিজ করতে ভূমি অফিসে গেলে দলিলের দাগ নম্বরের অসঙ্গতি ধরা পড়ে। ভূমি অফিস তাদের দলিল সংশোধনের পরামর্শ দেয়।এসময় ইমদাদুল গং জানান,দলিল সংশোধনের জন্য আমরা মহেশপুরের আইনজীবী মীর সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করি। বিষয়টি জানতে পেরে ইস্রাফিল এসে বলেন,মামলা করলে বছরের পর বছর কেটে যাবে,আমি ২-৩ দিনের মধ্যেই সব ঠিক করে দেব। তবে ৬ লক্ষ টাকা লাগবে।সরল বিশ্বাসে ক্রেতারা ইস্রাফিলের কথায় আস্থা রেখে মামলা না করেই দলিল সংশোধনের দায়িত্ব দেন তাকে।
পরে ইস্রাফিল দলিল ঠিক করা হয়েছে’দাবি করে হাতে তুলে দেন এবং নাম খারিজ প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ৬ লক্ষ টাকা দাবি করে ক্রেতাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন। টাকা না পেয়ে তিনি মহেশপুর ভূমি অফিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নাম খারিজ বাতিলের আবেদনসহ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং সংবাদ মাধ্যমে ক্রেতাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান।অভিযোগের বিষয়ে জমি ক্রয়ের মধ্যস্থতাকারী রবিউল বলেন,আমি ১৯৯৬ সালে ইস্রাফিলের কাছ থেকে জমি বিক্রি করেছিলাম। সেই থেকে ক্রেতারা জমি ভোগ করছেন। ইস্রাফিল এখন প্রতারণার চেষ্টা করছে,কিন্তু প্রমাণসহ সব কিছু পরিষ্কার।অন্যদিকে ইস্রাফিল দাবি করেন, “আমি সঠিকভাবে বিক্রি করেছি,এখন কিছু ভুল সংশোধনের জন্য টাকার প্রয়োজন।স্থানীয়রা বলছেন,ইস্রাফিলের প্রতারণার বিষয়টি এখন প্রকাশ্যে এসেছে,এবং দীর্ঘদিনের জমি লেনদেন নিয়ে তার তৈরি করা ভূমি জালিয়াতির নীল নকশা’আর টিকছে না।
ফতেপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ রহিদুজ্জামান জানান দলিলে সঠিক তথ্য পেয়েছে এবং সরজমিন ক্রেতার দখল পেয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি।দলিল শুনানি হয় এসিল্যান্ড অফিসে সেখানে তথ্য সঠিক পাওয়ায় নাম খারিজ হয়।





















