০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কালের আবর্তে চাপা পড়ছে ডাকপিয়নের ডাক। আজ বিশ্ব ডাক দিবসঃ

Reporter Name
  • Update Time : ০২:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২৫ Time View

 

মোঃ হেলাল উদ্দীন, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

 

সময় বদলেছে, বদলেছে যোগাযোগের ধরনও। এক সময় যার অপেক্ষায় প্রহর গুনতেন প্রিয়জনরা, সেই ডাক পিয়নের ডাক এখন আর শেনা যায়না।

প্রযুক্তির স্পর্শে বদলে গেছে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

হাতে-কলমে লেখা চিঠির জায়গা দখল করে নিয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট আর সোস্যাল মিডিয়া।

একটা সময় ছিল, চিঠি পৌঁছাতে সময় লাগতো সপ্তাহ কিংবা মাস। আর এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে মূহুর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে বার্তা। এক ক্লিকে পাঠানো যাচ্ছে অর্থ, ছবি কিংবা শুভেচ্ছা বার্তা।

চিঠি পত্র আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে অফিস, আদালত, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগত যোগাযোগেও ডাক পিয়নের পদধ্বনি ছিল খবরের প্রতীক। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এনালক থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক বিভাগের সেই জৌলুশ ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এখন আর দেখা মিলেনা রাস্তার মোড়ে মোড়ে রাখা লাল রঙের সেই ডাকবাক্স। যদিও প্রতিটি জিপিও এর সামনে এর স্বাক্ষী এখনো বর্তমান রয়েছে। তবুও তেমন দেখা যায়না কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আসা ডাকপিয়নদের।

ডাক বিভাগের কার্যক্রম আজো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অফিসিয়াল নথি, সরকারি চিঠি, নিয়োগপত্র কিংবা নোটিশ পাঠানোয় আজও ডাক বিভাগের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।

বিশ্বব্যাপী ডাক সেবাকে সমন্বিত ও আধুনিক করার লক্ষ্যে ১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় “জেনারেল পোস্টাল ইউনিয়ন”। ১৯৬৯ সালে টোকিও সম্মেলনে দিনটি “বিশ্ব ডাক দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী এ সংগঠনের সদস্য হয় এবং তখন থেকেই ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কালের আবর্তে চাপা পড়ছে ডাকপিয়নের ডাক। আজ বিশ্ব ডাক দিবসঃ

Update Time : ০২:৫৯:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

 

মোঃ হেলাল উদ্দীন, নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।

 

সময় বদলেছে, বদলেছে যোগাযোগের ধরনও। এক সময় যার অপেক্ষায় প্রহর গুনতেন প্রিয়জনরা, সেই ডাক পিয়নের ডাক এখন আর শেনা যায়না।

প্রযুক্তির স্পর্শে বদলে গেছে মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা।

হাতে-কলমে লেখা চিঠির জায়গা দখল করে নিয়েছে মোবাইল, ইন্টারনেট আর সোস্যাল মিডিয়া।

একটা সময় ছিল, চিঠি পৌঁছাতে সময় লাগতো সপ্তাহ কিংবা মাস। আর এখন পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে মূহুর্তেই পৌঁছে যাচ্ছে বার্তা। এক ক্লিকে পাঠানো যাচ্ছে অর্থ, ছবি কিংবা শুভেচ্ছা বার্তা।

চিঠি পত্র আদান প্রদানের মাধ্যম হিসাবে অফিস, আদালত, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিগত যোগাযোগেও ডাক পিয়নের পদধ্বনি ছিল খবরের প্রতীক। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এনালক থেকে ডিজিটাল যুগে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ডাক বিভাগের সেই জৌলুশ ক্রমেই ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এখন আর দেখা মিলেনা রাস্তার মোড়ে মোড়ে রাখা লাল রঙের সেই ডাকবাক্স। যদিও প্রতিটি জিপিও এর সামনে এর স্বাক্ষী এখনো বর্তমান রয়েছে। তবুও তেমন দেখা যায়না কাঁধে ব্যাগ ঝুলিয়ে আসা ডাকপিয়নদের।

ডাক বিভাগের কার্যক্রম আজো পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। অফিসিয়াল নথি, সরকারি চিঠি, নিয়োগপত্র কিংবা নোটিশ পাঠানোয় আজও ডাক বিভাগের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না।

বিশ্বব্যাপী ডাক সেবাকে সমন্বিত ও আধুনিক করার লক্ষ্যে ১৮৭৪ সালের ৯ অক্টোবর সুইজারল্যান্ডের বার্ন শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় “জেনারেল পোস্টাল ইউনিয়ন”। ১৯৬৯ সালে টোকিও সম্মেলনে দিনটি “বিশ্ব ডাক দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী এ সংগঠনের সদস্য হয় এবং তখন থেকেই ৯ অক্টোবর বিশ্ব ডাক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।