কুষ্টিয়ায় শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী জামিল মালিথা গ্রেফতার
- Update Time : ০২:২৩:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮ Time View

জিলহজ খান স্টাফ রিপোর্টার :
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের শীর্ষ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী এবং যুবদল নেতা জাহিদুল ইসলাম জামিল মালিথা (৪০) কে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গুলি ও হিরোইনসহ গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া মিরপুর ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ অভিযানিক দল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর ২০২৫) রাতে উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের আবেদের ঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত জামিল মালিথা ফিলিপনগর ইউনিয়নের সিরাজনগর মালিথাপাড়া গ্রামের মৃত জালাল মালিথার বড় ছেলে। তিনি রাজনৈতিকভাবে দৌলতপুর উপজেলা যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জামিল মালিথা পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অবৈধ অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আমদানি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছিলেন। পদ্মা নদী সংলগ্ন সীমান্ত এলাকাকে কেন্দ্র করে তিনি স্থানীয় ও সীমান্তপারের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এই অবৈধ কার্যক্রম চালাতেন।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে বিজিবির একটি বিশেষ দল অভিযান চালিয়ে জামিলকে আটক করে। এ সময় তার হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ হিরোইন, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জামিল মালিথা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিপনগর, চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নসহ পদ্মা নদীসংলগ্ন চরাঞ্চলজুড়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে তিনি আবেদের ঘাট এলাকায় টিনের স্থাপনা নির্মাণ করে নিজেকে “ঘাট মালিক” দাবি করেন। সরকারি ইজারাপ্রাপ্ত ঘাটমালিকের কাছ থেকে জবরদখল করে জামিল ও তার সহযোগীরা ঘাট নিয়ন্ত্রণে নেয়। পরবর্তীতে চাঁদাবাজি, জমিদখল, গরু লুট ও সীমান্তপারের মাদক ও অস্ত্র বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জামিল তার সন্ত্রাসী বাহিনী ও রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকদের সহায়তায় এককভাবে ঘাটের ইজারা গ্রহণ করে এবং চরাঞ্চল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন বিজিবির অভিযানে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মিরপুর ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে জামিল মালিথাকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকসহ তাকে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।”
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, জামিলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর: ৪১/২০২৫ ধারা: ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের A/19(f) এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ সালের ৩৬(১) সারনি ৮(গ) ধারা অনুযায়ী মামলা রুজু হয়েছে।
ওসি আরও বলেন,“দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারির পর বিজিবির সহায়তায় জামিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চরাঞ্চলের অস্ত্র, মাদক ও ডাকাতি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”













