১২:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) হোসেন ইমামকে  লাঞ্ছিত করার অভিযোগ।

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০ Time View

জিলহজ খান স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়া ২৫০ শয‌্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চি‌কিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমামকে  লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা  ঘটে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।     জানা গে‌ছে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ আরএমও হোসেন ইমাম আর নেই”— এমন বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ডা. হোসেন ইমামের ওপর সিভিল সার্জন অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তা‌ল উপর চড়াও হয় কিছু যুবক। এ সময় আরএমও‌কে ধাক্কা দি‌য়ে শা‌রিরীক ভা‌বে লাঞ্ছিত করা হয়। সম্প্রতি কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে চাকরিপ্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করেন। গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সাত ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  ঘটনা তদ‌ন্তে সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের তদন্ত টিম কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসে যান। এ বিষয়ে ডা. হোসেন ইমাম বলেন,“নিয়োগ পরীক্ষায় ‘আরএমও কোটার’ নামে কিছু ব্যক্তি আমার কাছে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিলেন। আমি স্পষ্টভাবে জানাই— এমন কোনো কোটা নেই। এরপর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করে। আজকে ফেসবুকে আমার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয় এবং এরপরই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।” জানা যায়,কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্প্রতি সাতটি পদে মোট ১১৫ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। আবেদন গ্রহণ করা হয় ৪ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর থেকেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে চাকরিপ্রত্যাশীরা। দুদক কুষ্টিয়া জেলা সম‌ন্বিত কার্যালয়ের পাঁচ সদস‌্যর দল সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) হোসেন ইমামকে  লাঞ্ছিত করার অভিযোগ।

Update Time : ০৮:২৯:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

জিলহজ খান স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়া ২৫০ শয‌্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চি‌কিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমামকে  লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে এ ঘটনা  ঘটে। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামা‌জিক যোগা‌যোগ মাধ‌্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।     জানা গে‌ছে, কিছু ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে “কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের দুর্নীতিবাজ আরএমও হোসেন ইমাম আর নেই”— এমন বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ডা. হোসেন ইমামের ওপর সিভিল সার্জন অফিস থেকে বের হওয়ার সময় তা‌ল উপর চড়াও হয় কিছু যুবক। এ সময় আরএমও‌কে ধাক্কা দি‌য়ে শা‌রিরীক ভা‌বে লাঞ্ছিত করা হয়। সম্প্রতি কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়মের অভিযোগে চাকরিপ্রত্যাশীরা বিক্ষোভ করেন। গত রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল থেকে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সাত ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন তারা। পরে বিকেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।  ঘটনা তদ‌ন্তে সোমবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও স্বাস্থ‌্য অ‌ধিদপ্ত‌রের তদন্ত টিম কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন অফিসে যান। এ বিষয়ে ডা. হোসেন ইমাম বলেন,“নিয়োগ পরীক্ষায় ‘আরএমও কোটার’ নামে কিছু ব্যক্তি আমার কাছে প্রভাব খাটাতে চেয়েছিলেন। আমি স্পষ্টভাবে জানাই— এমন কোনো কোটা নেই। এরপর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শুরু করে। আজকে ফেসবুকে আমার মৃত্যুর গুজব ছড়ানো হয় এবং এরপরই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করা হয়।” জানা যায়,কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় সম্প্রতি সাতটি পদে মোট ১১৫ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়। আবেদন গ্রহণ করা হয় ৪ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার পর থেকেই অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ শুরু করে চাকরিপ্রত্যাশীরা। দুদক কুষ্টিয়া জেলা সম‌ন্বিত কার্যালয়ের পাঁচ সদস‌্যর দল সোমবার সকালে সিভিল সার্জন অফিসে গিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র পর্যালোচনা করে। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে।