০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেশবপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

Reporter Name
  • Update Time : ০৭:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫০ Time View

 

মাহাবুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ঘোষণার অংশ হিসেবে ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় পাবলিক মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মোক্তার আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি বিল্লাল হুসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সামাদ, কেশবপুর উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার রফিকুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক তবিবুর রহমান এবং উপজেলা সমাজসেবা সম্পাদক কৃষিবিদ তাজামুল ইসলাম দীপুসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় ঘোষণার ভিত্তিতে সমাবেশে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো—
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম বন্ধ করা।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের জনগণ যেন তাদের পছন্দের দলকে ভোট দিয়ে বেছে নিতে পারে—এর জন্য সরকারের উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আগামীর বাংলাদেশ হবে দাড়ি-টুপির বাংলাদেশ, কুরআনের বাংলাদেশ এবং ন্যায়-ইনসাফের বাংলাদেশ।

আলোচনায় কেশবপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী বলেন, “আমি যদি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হই, তবে কেশবপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করব। সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, চাঁদামুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক একটি আদর্শ কেশবপুর গড়ে তুলতে চাই।

সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়, যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কেশবপুরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল

Update Time : ০৭:৩৭:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

মাহাবুর রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুর উপজেলায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় ঘোষণার অংশ হিসেবে ২৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৪টায় পাবলিক মাঠে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর উপজেলা আমীর অধ্যাপক মোক্তার আলী। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যশোর জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক হাবিবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি বিল্লাল হুসাইন, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুস সামাদ, কেশবপুর উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা রেজাউল করিম, উপজেলা সেক্রেটারি মাস্টার রফিকুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক তবিবুর রহমান এবং উপজেলা সমাজসেবা সম্পাদক কৃষিবিদ তাজামুল ইসলাম দীপুসহ অন্যান্য দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

কেন্দ্রীয় ঘোষণার ভিত্তিতে সমাবেশে ৫ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হলো—
১. জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা।
৪. ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার নিশ্চিত করা।
৫. স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম বন্ধ করা।

প্রধান অতিথি অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের জনগণ যেন তাদের পছন্দের দলকে ভোট দিয়ে বেছে নিতে পারে—এর জন্য সরকারের উচিত একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। আগামীর বাংলাদেশ হবে দাড়ি-টুপির বাংলাদেশ, কুরআনের বাংলাদেশ এবং ন্যায়-ইনসাফের বাংলাদেশ।

আলোচনায় কেশবপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী বলেন, “আমি যদি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হই, তবে কেশবপুর উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলায় পরিণত করব। সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, চাঁদামুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক একটি আদর্শ কেশবপুর গড়ে তুলতে চাই।

সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য মিছিল বের হয়, যা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।