কেশবপুর মাছ বাজার সংলগ্ন হুমাইরা ভিলায় অগ্নিকাণ্ডে নারী ও শিশুসহ আহত-৭

- Update Time : ০৫:৫১:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫
- / ২৯ Time View

মাহাবুর রহমান, কেশবপুর ( যশোর)
যশোরের কেশবপুর পৌর শহরের মাছ বাজার সংলগ্ন হুমাইরা ভিলাতে গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে নারী ও শিশুসহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।আহতরা হলেন, গোপালগঞ্জ জেলার কোটালিপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ী গ্রামের ফজলুল শেখের ছেলে সবুজ শেখ (৪২), সবুজ শেখের দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯), রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২ বছর), স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩৭), বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার চরনাজিমউদ্দিন গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে আব্বাস উদ্দীন (৩৯)।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) রাত অনুমান ১০ টার দিকে কেশবপুর পৌর শহরের মাছ বাজার সংলগ্ন মাছ আড়ৎদার ব্যবসায়ী মাহাবুর রহমানের হুমাইরা ভিলা নামক তিনতলা ভবনের নিচতলার একটি ইউনিটে ককশিট ও প্লাস্টিকের ক্যারেটের গোডাউনে শ্রমিকরা কাজ করাকালিন সময়ে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিক ও স্থানীয়রা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে খবর দেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। ততক্ষণে আগুনের লেলিহান শিখার তাপে ও ধোঁয়ায় বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়া সবুজ শেখ (৪২), সবুজ শেখের দুই ছেলে রবিউল শেখ (১৯) রমজান শেখ (১৩), দুই মেয়ে তাসনিয়া (৬) তাসফিয়া (২ বছর), স্ত্রী সোনিয়া বেগম (৩৭), বোন ঝুমুর বেগম (৩৮) এবং তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া আব্বাস উদ্দীন (৩৯) অগ্নিদগ্ধ হয়ে আহত হন। আহতদের হাত, মুখ, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের সবাইকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
স্থানীয়দের ধারণা ওই বিল্ডিংয়ের নিচতলার গোডাউনে শ্রমিকরা কাজ করা অবস্থায় সিগারেটের ফেলে দেওয়া আগুন হতে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে। আগুনে ককশিট ও প্লাস্টিকের ক্যারেট পুড়ে অনুমান ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে কেশবপুর ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল স্টেশনের লিডার নাজিম উদ্দীন বলেন, খবর পেয়েই ফায়ার সার্ভিসের দুইটা ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় ওই বিল্ডিংয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিল্ডিংয়ের নিচের ইউনিটে বৈদ্যুতিক সংযোগ না থাকায় শর্ট সার্কিটে আগুন লাগার সম্ভাবনা নেই। কিভাবে আগুনের সূত্রপাত সেটা সঠিক জানা যায়নি। তবে, শ্রমিকদের সিগারেটের আগুনে আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। আগুনে বিল্ডিং, ককশিট এবং প্লাস্টিকের ক্যারেট পুড়ে অনুমান ১০লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।