চাহিদার শীর্ষে যুব উন্নয়নের “ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ” প্রকল্প।

- Update Time : ০৬:৩১:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১১ Time View

চাহিদার শীর্ষে যুব উন্নয়নের “ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ” প্রকল্প। ৪৮ জেলায় আবেদন লক্ষাধিক!! রিয়াদ ইসলাম বরগুনা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “দেশের ৪৮ জেলায় শিক্ষিত কর্মপ্রত্যাশী যুবদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ফ্রিল্যান্সিং-এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে বেকারত্ব দূরীকরণ ও উদ্যোক্তা তৈরীর লক্ষ্যে ২০২৫ সাল থেকে দেশের ৪৮ টি জেলায় যুব ও যুব মহিলাদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৩টি ব্যাচে ৭২০০ জন যুব ও যুব মহিলা প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে, তাদের ৬২ শতাংশের অধিক সরাসরি আয়ের সাথে সম্পৃক্ত হয়েছে ও নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। উদ্যোক্তাগণ প্রায় ৯ লক্ষ মার্কিন ডলার আয় করেছে যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১১ কোটি টাকা এবং এ আয় চলমান রয়েছে। প্রকল্পটি যুব সমাজের মাঝে প্রভূত কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ৪র্থ মেয়াদে (অক্টোবর’২০২৫ –ডিসেম্বর’২০২৫) প্রশিক্ষণার্থী ভর্তির লক্ষ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে লক্ষাধিক আবেদন পড়ে। যেখানে প্রতি জেলায় ৭৫টি আসন করে ৪৮টি জেলায় মোট ৩৬০০ জন ভর্তির সুযোগ পাবে। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইং তারিখে সকল জেলায় একযোগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিনে পরীক্ষার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এই পরীক্ষা তদারকি করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ৪৮টি জেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড এর প্রতিনিধিবৃন্দ। তন্মধ্যে ৪র্থ ব্যাচে বরগুনা জেলা’য় বৈধ ৬১৯ জন প্রার্থী আবেদন করেছে ও ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। আগামীকাল ২৭-০৯-২০২৫ তারিখে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। লিখিত পরিক্ষাসহ চুড়ান্ত ফলাফল এসএমএস এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীদের জানানো হবে। এর পূর্বে এ জেলা থেকে ৩টি ব্যাচে মোট ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে এবং ৭০% এর অধিক প্রশিক্ষণার্থী আয় করছে। এ আয় প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাছাড়া প্রশিক্ষণার্থীরা প্রশিক্ষণ শেষে দৈনিক ২০০/- (দুইশত) টাকা হারে ভাতা পাবে ও দৈনিক সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও বিকালের নাস্তা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ উপকরণ প্রদান করা হবে। এই প্রকল্পটি পরিচালনা করছে দেশের স্বনামধন্য আইটি প্রতিষ্ঠান ‘ই-লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং লিমিটেড’।