০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃষ্টিতে আধা-পাকা ধানসহ আলু মরিচ শাক সবজি ক্ষতি!

Reporter Name
  • Update Time : ০৭:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৩ Time View

কৃষকের মাথায় হাত উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলা বিভন্ন উপজেলায় কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহে আধাা-পাকধানসহ আলু-মরিচ ও শাকসবজির ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের। আলু চাষ করে গতবছর লোকসানে পড়েন নওগাঁর কৃষকরা। সেই লোকসান পুষিয়ে নিতে এবার আগাম আলু চাষ শুরু করেন কৃষকরা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কয়েদিনের বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে পানি জমেছে। যেসব জমিতে আগাম আলু বপণ করা হয়েছে, সেসব জমিতে পানি জমায় রোপণ করা আলুর বীজ পচে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে আলু চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এছাড়াও রোপা আমন ধান ও আগাম শীতকালীন মরিচ ও শাক-সবজি ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আমন ধান চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আলু আবাদের জন্য কোথাও কোথাও প্রস্তুত করা হয়েছিল জমি, কোথায় সদ্য রোপণ করা হয়েছে বীজ। বৃষ্টিতে জমিতেই জমেছে পানি। ফসল বাঁচাতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা। শুধু আলু খেত নয়, আগাম জাতের শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, মুলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছও মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যেসব খেতের সবজি এখনো ভলো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা। এছাড়াও মাঠের আধা-পাকা ধান হেলে পড়েছে, গড়াগড়ি খাচ্ছে পানিতে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেলো বছর আলুর ভালো দাম না পাওয়ায় এবছর ভালা লাভের আশায় আগাম আলু চাষ শুরু করেন কৃষকরা। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টি হও য়ায় আলুর জমিতে পানি জমে। ফলে বৃষ্টির পানিতে একদিকে রোপণ করা বীজ পচে গেলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। অন্যদিকে, অনাবাদী জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের পর বীজ রোপণ কবে করা যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। শীতকালীন শাক-সবজির জমিতেও দেখা দিয়েছে শিকড় পচে যাওয়ার সমস্যা। পানি দ্রুত না সরলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকেরা। আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, গতবছর আলু চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। ভাবলাম একটু আগাম আলু লাগালে ভালো দাম পাওয়া যাবে। সেই আশায় দেড় বিঘা জমিতে আলু বীজ রোপণ করেছি এক সপ্তাহ হয়নি। এরমধ্যে বৃষ্টি। এখন বৃষ্টির পানি জমে থাকায় গাছ ঠিক মতো উঠতে পারে নাও পারে। কি করব ভেবে পাচ্ছি না…. মান্দা উপজেলার ভারশো এলাকার কৃষক আশরাফ হোসেন বলেন,.. আগাম আলু চাষে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। এলাকার কয়েকজন আলু লাগাইতাছে দেখে আমিও এক বিঘা জমিতে কয়েকদিন আগে লাগালাম। কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টি হওযায় আলুর জমিতে পানি জমে। এতে করে রোপণ করা বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।– সদর উপজেলা বর্ষাইল এলাকার কৃষক রতন মোল্লা বলেন, সবেমাত্র কিছুদিন আগে আলুর বীজ রোপণ করেছি। এরই মধ্যে বৃষ্টি। এখনও মাঝে মাঝে মেঘে ঢেকে আসছে। ঝির ঝির করে বৃষ্টিও পড়ছে। মাটির নিচে রোপণ করা আলুর বীজ একটু পানি পেলে পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ক্ষেত্রের অধিকাংশ আলু পচে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। হাপানিয়া এলাকার সুশীল মিস্ত্রি বলেন, ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় আমন ধানের গাছ মাটিতে নুয়ে গেছে। এখনো ফসলের খেতের অনেক পানি জমে রয়েছে। দ্রুত পানি সরাতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। কীর্ত্তিপুর এলাকার সবজি চাষি ইন্দ্রি মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড় বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ফুল কপিসহ বিভিন্ন সবজির গাছের গোড়ায় পচন দেখা দিয়েছে। কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষকরা খরচের টাকাও তুলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নের ৯ নং চৌমাশিয়া সরকার পাড়ার ধীরেন সরকারের ছেলে বিদুৎ সরকার বলেন এই কার্তিকের নমলা কাতিসার করেন অধিকাংশ সাধারণ কৃষকের এখন দুর্দিনে কে এগিয়ে আসবে। ধার-দেনা করে ৩-৪ বিঘা স্বর্ণা ৫ রোপন করেছি কিন্তু ভাগ্যের কি নীলা আমার সমস্ত ধান মাটিতে নয়ে পরেছে আমার আশার মুখে ছাই কেমন কমন করে আমার ঋণের বোঝা দূর হবে। আমার জ্যতাতো ভাই শুকুমার সরকার একই অবস্থা উজ্জ্বল কুমার বলেন আমার ত-৪ বিঘা জমি ধান একে বাড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে আতব ধান ও নয়ে পারে জলে ভেসে আছে এই ধানের ফলন আশা করা যায় না প্রতি বিঘায় ধানের সার ও কিটনাষক ঔষধ জমি চাষ লাগানো কামলার মোট খরচ প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা, এখন সব উল্টো পাল্টা হয়ে গেল এই ক্ষতি পূরন হবে কেমনে! কে দিবে ক্ষতি পূরন!? জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোমায়রা মন্ডল বলেন, বৃষ্টি হলেও ভারী বর্ষণ হয়নি। সবেমাত্র আলু রোপণ শুরু হয়েছে। যেসব জমিতে আলু লাগিয়ে ৮-১০ দিন হয়েছে সেগুলোর ক্ষতি হবে না। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও ধানের খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। ধানের জন্য বৃষ্টি কিছুটা আর্শীবাদ। খেত থেকে পানি সরে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। নওগাঁ #

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নওগাঁয় কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃষ্টিতে আধা-পাকা ধানসহ আলু মরিচ শাক সবজি ক্ষতি!

Update Time : ০৭:১৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

কৃষকের মাথায় হাত উজ্জ্বল কুমার সরকার নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ জেলা বিভন্ন উপজেলায় কার্তিকের দ্বিতীয় সপ্তাহে আধাা-পাকধানসহ আলু-মরিচ ও শাকসবজির ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের। আলু চাষ করে গতবছর লোকসানে পড়েন নওগাঁর কৃষকরা। সেই লোকসান পুষিয়ে নিতে এবার আগাম আলু চাষ শুরু করেন কৃষকরা। কিন্তু বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কয়েদিনের বৃষ্টিতে ফসলি জমিতে পানি জমেছে। যেসব জমিতে আগাম আলু বপণ করা হয়েছে, সেসব জমিতে পানি জমায় রোপণ করা আলুর বীজ পচে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। যে কারণে আলু চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এছাড়াও রোপা আমন ধান ও আগাম শীতকালীন মরিচ ও শাক-সবজি ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় আমন ধান চাষ হয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার হেক্টর জমিতে। আগাম শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে ১ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে। আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আলু আবাদের জন্য কোথাও কোথাও প্রস্তুত করা হয়েছিল জমি, কোথায় সদ্য রোপণ করা হয়েছে বীজ। বৃষ্টিতে জমিতেই জমেছে পানি। ফসল বাঁচাতে পানি সরানোর চেষ্টা করছেন কৃষকরা। শুধু আলু খেত নয়, আগাম জাতের শীতকালীন ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, মরিচ, বেগুন, মুলাসহ বিভিন্ন শাক-সবজির গাছও মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। যেসব খেতের সবজি এখনো ভলো রয়েছে, তা রক্ষায় প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন কৃষকেরা। এছাড়াও মাঠের আধা-পাকা ধান হেলে পড়েছে, গড়াগড়ি খাচ্ছে পানিতে। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গেলো বছর আলুর ভালো দাম না পাওয়ায় এবছর ভালা লাভের আশায় আগাম আলু চাষ শুরু করেন কৃষকরা। তবে কয়েকদিনের বৃষ্টি হও য়ায় আলুর জমিতে পানি জমে। ফলে বৃষ্টির পানিতে একদিকে রোপণ করা বীজ পচে গেলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা। অন্যদিকে, অনাবাদী জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের পর বীজ রোপণ কবে করা যাবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। শীতকালীন শাক-সবজির জমিতেও দেখা দিয়েছে শিকড় পচে যাওয়ার সমস্যা। পানি দ্রুত না সরলে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকেরা। আত্রাই উপজেলার কালিকাপুর ডাঙ্গাপাড়া এলাকার কৃষক জয়নাল বলেন, গতবছর আলু চাষ করে অনেক লোকসান হয়েছে। ভাবলাম একটু আগাম আলু লাগালে ভালো দাম পাওয়া যাবে। সেই আশায় দেড় বিঘা জমিতে আলু বীজ রোপণ করেছি এক সপ্তাহ হয়নি। এরমধ্যে বৃষ্টি। এখন বৃষ্টির পানি জমে থাকায় গাছ ঠিক মতো উঠতে পারে নাও পারে। কি করব ভেবে পাচ্ছি না…. মান্দা উপজেলার ভারশো এলাকার কৃষক আশরাফ হোসেন বলেন,.. আগাম আলু চাষে কিছুটা ঝুঁকি থাকে। এলাকার কয়েকজন আলু লাগাইতাছে দেখে আমিও এক বিঘা জমিতে কয়েকদিন আগে লাগালাম। কয়েকদিনের থেমে থেমে বৃষ্টি হওযায় আলুর জমিতে পানি জমে। এতে করে রোপণ করা বীজ পচে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।– সদর উপজেলা বর্ষাইল এলাকার কৃষক রতন মোল্লা বলেন, সবেমাত্র কিছুদিন আগে আলুর বীজ রোপণ করেছি। এরই মধ্যে বৃষ্টি। এখনও মাঝে মাঝে মেঘে ঢেকে আসছে। ঝির ঝির করে বৃষ্টিও পড়ছে। মাটির নিচে রোপণ করা আলুর বীজ একটু পানি পেলে পচে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে ক্ষেত্রের অধিকাংশ আলু পচে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। হাপানিয়া এলাকার সুশীল মিস্ত্রি বলেন, ধান পাকতে শুরু করেছে। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ায় আমন ধানের গাছ মাটিতে নুয়ে গেছে। এখনো ফসলের খেতের অনেক পানি জমে রয়েছে। দ্রুত পানি সরাতে না পারলে অনেক ক্ষতি হবে। কীর্ত্তিপুর এলাকার সবজি চাষি ইন্দ্রি মিয়া বলেন, কয়েক দিন ধরে গুঁড়ি গুঁড় বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ফুল কপিসহ বিভিন্ন সবজির গাছের গোড়ায় পচন দেখা দিয়েছে। কার্তিক মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে অসময়ের বৃষ্টিতে কৃষকরা খরচের টাকাও তুলতে পারবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় আছে। জেলার মহাদেবপুর উপজেলার ৯ নং চেরাগপুর ইউনিয়নের ৯ নং চৌমাশিয়া সরকার পাড়ার ধীরেন সরকারের ছেলে বিদুৎ সরকার বলেন এই কার্তিকের নমলা কাতিসার করেন অধিকাংশ সাধারণ কৃষকের এখন দুর্দিনে কে এগিয়ে আসবে। ধার-দেনা করে ৩-৪ বিঘা স্বর্ণা ৫ রোপন করেছি কিন্তু ভাগ্যের কি নীলা আমার সমস্ত ধান মাটিতে নয়ে পরেছে আমার আশার মুখে ছাই কেমন কমন করে আমার ঋণের বোঝা দূর হবে। আমার জ্যতাতো ভাই শুকুমার সরকার একই অবস্থা উজ্জ্বল কুমার বলেন আমার ত-৪ বিঘা জমি ধান একে বাড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে আতব ধান ও নয়ে পারে জলে ভেসে আছে এই ধানের ফলন আশা করা যায় না প্রতি বিঘায় ধানের সার ও কিটনাষক ঔষধ জমি চাষ লাগানো কামলার মোট খরচ প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা, এখন সব উল্টো পাল্টা হয়ে গেল এই ক্ষতি পূরন হবে কেমনে! কে দিবে ক্ষতি পূরন!? জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হোমায়রা মন্ডল বলেন, বৃষ্টি হলেও ভারী বর্ষণ হয়নি। সবেমাত্র আলু রোপণ শুরু হয়েছে। যেসব জমিতে আলু লাগিয়ে ৮-১০ দিন হয়েছে সেগুলোর ক্ষতি হবে না। এছাড়া শীতকালীন সবজি ও ধানের খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। ধানের জন্য বৃষ্টি কিছুটা আর্শীবাদ। খেত থেকে পানি সরে গেলে কোনো সমস্যা হবে না। নওগাঁ #