০৪:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নড়াইলে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি

Reporter Name
  • Update Time : ০১:৪৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩০ Time View

 

আরীফ শরিফ (নড়াইল)

নড়াইল জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা না করা হলে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলার সামাজিক সংগঠনগুলো। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে সম্মিলিত সামাজিক জোটের ব্যানারে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবেশী যশোর জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজ থাকার পরও সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন যশোরে আরও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। নড়াইলকে বঞ্চিত করে প্রতিবেশী যশোরে কেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন? অবিলম্বে নড়াইলে একটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ছাত্রনেতা শাফায়াত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সামাজিক জোটের আহ্বায়ক, কবি ও সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নড়াইল বরাবরই জাতিকে শ্রেষ্ঠ সন্তান উপহার দিয়েছে। নড়াইল বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে উপহার দিয়েছে, যার মাধ্যমে সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছে। নড়াইল একাত্তরে উপহার দিয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদকে, ক্রীড়াঙ্গনে উপহার দিয়েছে একাধিক অধিনায়ককে। তবে উন্নয়নের বেলায় নড়াইল সব সরকারের আমলেই অবহেলিত। তিনি বলেন, এবার আমরা সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে এসেছি। আজ সীমিত পরিসরে মানববন্ধন করলাম। কিন্তু সামনে দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে।

জোটের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব জাকারিয়া খান বলেন, এবার নড়াইলবাসী অধিকার আদায় করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আমরা রাজপথে রক্ত ঢেলে দিবো। তবুও নড়াইলের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো আপোস হবেনা।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবী এস এম ইরফানুল বারী উজ্জ্বল, মুহাদ্দিস হোসেন বাপ্পা, সাইফুল ইসলাম বকুল, নাসির ও শাকিল উদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা আল-আমিন মণ্ডল, আমিরুল ইসলাম রানা, শাহারুল আলম, আব্দুল কাদের, রসিকুল ইসলাম, মো. আকাশ শেখ, সাব্বির প্রমুখ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নড়াইলে মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি

Update Time : ০১:৪৭:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

 

আরীফ শরিফ (নড়াইল)

নড়াইল জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা না করা হলে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জেলার সামাজিক সংগঠনগুলো। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকালে সম্মিলিত সামাজিক জোটের ব্যানারে নড়াইল প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিবেশী যশোর জেলায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি মেডিকেল কলেজ থাকার পরও সেখানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন যশোরে আরও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন। নড়াইলকে বঞ্চিত করে প্রতিবেশী যশোরে কেন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন? অবিলম্বে নড়াইলে একটি মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে ছাত্রনেতা শাফায়াত উল্লাহ’র সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সামাজিক জোটের আহ্বায়ক, কবি ও সাংবাদিক মিনহাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, নড়াইল বরাবরই জাতিকে শ্রেষ্ঠ সন্তান উপহার দিয়েছে। নড়াইল বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানকে উপহার দিয়েছে, যার মাধ্যমে সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে চিনেছে। নড়াইল একাত্তরে উপহার দিয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদকে, ক্রীড়াঙ্গনে উপহার দিয়েছে একাধিক অধিনায়ককে। তবে উন্নয়নের বেলায় নড়াইল সব সরকারের আমলেই অবহেলিত। তিনি বলেন, এবার আমরা সেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ছাত্রজনতা রাজপথে নেমে এসেছি। আজ সীমিত পরিসরে মানববন্ধন করলাম। কিন্তু সামনে দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি দেয়া হবে।

জোটের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব জাকারিয়া খান বলেন, এবার নড়াইলবাসী অধিকার আদায় করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে। দাবি আদায়ের জন্য প্রয়োজনে আমরা রাজপথে রক্ত ঢেলে দিবো। তবুও নড়াইলের উন্নয়নের স্বার্থে কোনো আপোস হবেনা।

মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সেচ্ছাসেবী এস এম ইরফানুল বারী উজ্জ্বল, মুহাদ্দিস হোসেন বাপ্পা, সাইফুল ইসলাম বকুল, নাসির ও শাকিল উদ্দিন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রনেতা আল-আমিন মণ্ডল, আমিরুল ইসলাম রানা, শাহারুল আলম, আব্দুল কাদের, রসিকুল ইসলাম, মো. আকাশ শেখ, সাব্বির প্রমুখ।