০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে গলায় ফাঁস দিয়ে সিএনজি চালকের আত্মহত্যা

Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৪৭ Time View

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর উপজেলার নটখানা শান্তি পাড়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক সিএনজি চালক। নিহতের নাম তরিকুল ইসলাম ওরফে গ্যাদা (২৮)। তিনি ওই গ্রামের মো. আবু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পরিবারের সবার অগোচরে বাড়ির পাশের একটি আমগাছে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনার দুই দিন আগে ঢাকায় সিএনজি চালানোর কাজ শেষ করে গ্রামে ফেরেন তরিকুল। প্রতিবেশীরা জানান, তরিকুল ছিলেন শান্ত-শিষ্ট ও নিরীহ স্বভাবের মানুষ। তবে হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কেউ বলতে পারছেন না। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, “খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।” নিহতের পরিবারে হঠাৎ এ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের মানুষও হতবাক হয়ে পড়েছে এই ঘটনায়। অনেকেই বলছেন, কর্মসংস্থান ও জীবিকার অনিশ্চয়তা অনেক সময় মানুষকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নীলফামারীতে গলায় ফাঁস দিয়ে সিএনজি চালকের আত্মহত্যা

Update Time : ০২:১৬:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নীলফামারী প্রতিনিধি: নীলফামারী সদর উপজেলার নটখানা শান্তি পাড়া গ্রামে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক সিএনজি চালক। নিহতের নাম তরিকুল ইসলাম ওরফে গ্যাদা (২৮)। তিনি ওই গ্রামের মো. আবু মিয়ার ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পরিবারের সবার অগোচরে বাড়ির পাশের একটি আমগাছে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনার দুই দিন আগে ঢাকায় সিএনজি চালানোর কাজ শেষ করে গ্রামে ফেরেন তরিকুল। প্রতিবেশীরা জানান, তরিকুল ছিলেন শান্ত-শিষ্ট ও নিরীহ স্বভাবের মানুষ। তবে হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কেউ বলতে পারছেন না। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম আর সাঈদ সাংবাদিকদের জানান, “খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।” নিহতের পরিবারে হঠাৎ এ মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের মানুষও হতবাক হয়ে পড়েছে এই ঘটনায়। অনেকেই বলছেন, কর্মসংস্থান ও জীবিকার অনিশ্চয়তা অনেক সময় মানুষকে চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।