০৩:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত এক 

Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১০ Time View

 

নীলফামারী প্রতিনিধি

 

নীলফামারীতে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নীলফামারী কলেজ স্টেশনের অদূরে মনসাপাড়া গ্রামের চেতাশার ঘুন্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই জাহিদুলকে রেললাইনে বসে থাকতে দেখা যায়। পরে ট্রেন আসার সময় তিনি উঠে দু’হাত প্রসারিত করে বুক টান করে দাঁড়িয়ে যান। ট্রেনচালক বারবার হর্ণ বাজালেও তিনি সরেননি। একপর্যায়ে দ্রুতগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

 

ট্রেন চালক মজিবুল হক বলেন, “আমি একাধিকবার হর্ণ বাজিয়েছি। তারপরও তিনি সরে যাননি। ফলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি।”

 

নিহত জাহিদুল নীলফামারী শহরের শান্তিনগর (কানছিরার মোড়) এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

 

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, “চিলাহাটীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেসের চালক দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

নীলফামারীতে ট্রেনের ধাক্কায় নিহত এক 

Update Time : ১১:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

নীলফামারী প্রতিনিধি

 

নীলফামারীতে বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে নীলফামারী কলেজ স্টেশনের অদূরে মনসাপাড়া গ্রামের চেতাশার ঘুন্টি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই জাহিদুলকে রেললাইনে বসে থাকতে দেখা যায়। পরে ট্রেন আসার সময় তিনি উঠে দু’হাত প্রসারিত করে বুক টান করে দাঁড়িয়ে যান। ট্রেনচালক বারবার হর্ণ বাজালেও তিনি সরেননি। একপর্যায়ে দ্রুতগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেসের ধাক্কায় ছিটকে গিয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তিনি।

 

ট্রেন চালক মজিবুল হক বলেন, “আমি একাধিকবার হর্ণ বাজিয়েছি। তারপরও তিনি সরে যাননি। ফলে এ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি।”

 

নিহত জাহিদুল নীলফামারী শহরের শান্তিনগর (কানছিরার মোড়) এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

 

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উন-নবী বলেন, “চিলাহাটীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেসের চালক দুর্ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানালে আমরা রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।