০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাবনার ভবিষ্যৎ যুব সমাজের আইকন কে.এম. আতিক হাসান

Reporter Name
  • Update Time : ১১:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ Time View

 

নিউজ ডেস্কঃ

কে.এম. আতিক হাসান ২০০৩ সালের ৫ ই জানুয়ারি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন৷ তার পিতা মাওলানা আব্দুল্লাহিল মামুন একজন শিক্ষক এবং মাতা মোছাঃ সাইফুন্নাহার খানম একজন গৃহিনী।

আতিকের পরিবার ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তার পূর্বপুরুষ শেখ খায়রুল্লাহ খান ১৪০০ সালে ইসলাম প্রচারের জন্য এদেশে আগমন করেছিলেন। তার দাদা রফিক উদ্দিন খান স্থানীয় সমাজে ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান—মসজিদ, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুরকানিয়া মাদরাসা ও কবরস্থান—প্রতিষ্ঠা করেছেন।

শৈশবকাল থেকেই আতিক হাসান প্রতিভাবান ছিলেন। শিক্ষাজীবন শুরু হয় পরিবারের হাতেখরি থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি দেবোত্তর হলি চাইল্ড কিন্ডারগার্ডেন এবং ধ/ শ্রীকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর মাধ্যমে সম্পন্ন করেন।

ছোটোবেলাতে তিনি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমে ইসলামি ফাউন্ডেশন, আটঘরিয়া থেকে সেরা ছাত্র হিসেবে পুরস্কৃত হন। এছাড়া স্থানীয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুরআন তেলায়াত প্রতিযোগিতায় বারবার সেরা পুরস্কার অর্জন করেছেন।

২০১৩ সালে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মাহমুদপুর ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা-তে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন। একই বছরে ২০১৩ সালে ভর্তি হন পাবনা ইসলামিয়া মাদরাসা, যা বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ এবং মাদরাসা বোর্ডের সেরা ১০-এর ২য় স্থান অর্জনকারী। সেখান থেকে ২০১৫ সালে জেডিসি ও ২০১৮ সালে দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন পাবনা সরকারি কলেজ থেকে৷
এরপর বি.এ. সন্মান শ্রেনীতে ভর্তি হন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা-তে এবং পাশাপাশি চাঁদভা ইসলামীয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে ২০২২ সালে আলিম পাশ করেন। বর্তমানে পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসা, ফাজিলে (ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যায়নরত৷

আতিক সমাজসেবায় ছোটোবেলা থেকেই সক্রিয়। তিনি সাংবাদিকতা, অভিনয় এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত। তিনি রোটার‍্যাক্ট ক্লাব, রোভার স্কাউটস, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, সিসিএস, রক্তদান সংগঠন-এ নেতৃত্ব দিয়েছেন। শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কমিউনিটি সেবার জন্য নানা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি আহত হন। আতিক বাংলাদেশের গেজেটভুক্ত একজন আহত জুলাই যোদ্ধা হিসবে তালিকাবদ্ধ রয়েছেন৷ তিনি রাষ্ট্র, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সম্মাননা স্মারক প্রাপ্ত।

এছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।

আতিক হাসান একটি আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। যে দেশে মানুষ কারো কাছে বৈষম্যের শিকার হবে না, যেখানে মেধা ও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হবে, এবং যেখানে যুব সমাজ তাদের সৃজনশীলতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তার জীবন, শিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা প্রমাণ করে যে তিনি কেবল একজন উদীয়মান নেতাই নন, বরং পাবনার যুব সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা এবং পরিবর্তনের একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সৈনিক।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

পাবনার ভবিষ্যৎ যুব সমাজের আইকন কে.এম. আতিক হাসান

Update Time : ১১:৩৯:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

 

নিউজ ডেস্কঃ

কে.এম. আতিক হাসান ২০০৩ সালের ৫ ই জানুয়ারি পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের শ্রীকান্তপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন৷ তার পিতা মাওলানা আব্দুল্লাহিল মামুন একজন শিক্ষক এবং মাতা মোছাঃ সাইফুন্নাহার খানম একজন গৃহিনী।

আতিকের পরিবার ধর্মীয় শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। তার পূর্বপুরুষ শেখ খায়রুল্লাহ খান ১৪০০ সালে ইসলাম প্রচারের জন্য এদেশে আগমন করেছিলেন। তার দাদা রফিক উদ্দিন খান স্থানীয় সমাজে ধর্মীয়, শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান—মসজিদ, মাদরাসা, প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুরকানিয়া মাদরাসা ও কবরস্থান—প্রতিষ্ঠা করেছেন।

শৈশবকাল থেকেই আতিক হাসান প্রতিভাবান ছিলেন। শিক্ষাজীবন শুরু হয় পরিবারের হাতেখরি থেকে। প্রাথমিক শিক্ষা তিনি দেবোত্তর হলি চাইল্ড কিন্ডারগার্ডেন এবং ধ/ শ্রীকান্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর মাধ্যমে সম্পন্ন করেন।

ছোটোবেলাতে তিনি মসজিদ ভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রমে ইসলামি ফাউন্ডেশন, আটঘরিয়া থেকে সেরা ছাত্র হিসেবে পুরস্কৃত হন। এছাড়া স্থানীয় ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুরআন তেলায়াত প্রতিযোগিতায় বারবার সেরা পুরস্কার অর্জন করেছেন।

২০১৩ সালে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য মাহমুদপুর ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা-তে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়েছিলেন। একই বছরে ২০১৩ সালে ভর্তি হন পাবনা ইসলামিয়া মাদরাসা, যা বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ এবং মাদরাসা বোর্ডের সেরা ১০-এর ২য় স্থান অর্জনকারী। সেখান থেকে ২০১৫ সালে জেডিসি ও ২০১৮ সালে দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন পাবনা সরকারি কলেজ থেকে৷
এরপর বি.এ. সন্মান শ্রেনীতে ভর্তি হন সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা-তে এবং পাশাপাশি চাঁদভা ইসলামীয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসা থেকে ২০২২ সালে আলিম পাশ করেন। বর্তমানে পাবনা কামিল আলিয়া মাদরাসা, ফাজিলে (ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয়) অধ্যায়নরত৷

আতিক সমাজসেবায় ছোটোবেলা থেকেই সক্রিয়। তিনি সাংবাদিকতা, অভিনয় এবং স্বেচ্ছাসেবী কাজে যুক্ত। তিনি রোটার‍্যাক্ট ক্লাব, রোভার স্কাউটস, নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, সিসিএস, রক্তদান সংগঠন-এ নেতৃত্ব দিয়েছেন। শিশু শিক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও কমিউনিটি সেবার জন্য নানা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছেন।

২০২৪ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করে তিনি আহত হন। আতিক বাংলাদেশের গেজেটভুক্ত একজন আহত জুলাই যোদ্ধা হিসবে তালিকাবদ্ধ রয়েছেন৷ তিনি রাষ্ট্র, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে সম্মাননা স্মারক প্রাপ্ত।

এছাড়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ও কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য সার্টিফিকেট অর্জন করেছেন।

আতিক হাসান একটি আধুনিক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। যে দেশে মানুষ কারো কাছে বৈষম্যের শিকার হবে না, যেখানে মেধা ও শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হবে, এবং যেখানে যুব সমাজ তাদের সৃজনশীলতা ও দেশপ্রেমের মাধ্যমে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। তার জীবন, শিক্ষা, সামাজিক ও রাজনৈতিক সক্রিয়তা প্রমাণ করে যে তিনি কেবল একজন উদীয়মান নেতাই নন, বরং পাবনার যুব সমাজের জন্য এক উজ্জ্বল অনুপ্রেরণা এবং পরিবর্তনের একজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ সৈনিক।