০৪:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলে।

Reporter Name
  • Update Time : ০৭:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ Time View

মো: রাজু আহমেদ (স্টাফ রিপোর্টার) নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলে। সাগর, নদী ও সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে প্রায় সারা বছর ধরেই কোনো না কোনোভাবে জারি থাকে মাছ ধরার ওপর অবরোধ। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব জেলেরা। উপকূলজুড়ে দীর্ঘ সময়ের এসব নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তার সীমাবদ্ধতায় দিন দিন ভেঙে পড়ছে জেলেদের জীবনধারা। জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। জেলেদের অভিযোগ, বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আয়ের উৎস শূন্য হয়ে যায় তাদের। নৌকা-জাল বিক্রি করে, ধার-দেনা করে কিংবা অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকেই। মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রতি বছর জানুয়ারিতে ১৫ দিন এবং ফেব্রুয়ারিতে আরও ১৫ দিন চালানো হয় বিশেষ কম্বিং অপারেশন। এসময় অবৈধ জাল ধরতে অভিযান চলে, তবে জেলেরা কোনো সহায়তা পান না। প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এ সময়টি মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় জেলেদের জাল ফেলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।” এদিকে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নিবন্ধিত জেলেরা দুই দফায় সরকারি সহায়তা হিসেবে চাল পান- প্রথম দফায় ৮০ কেজি ও দ্বিতীয় দফায় আরও ৮০ কেজি। কিন্তু এতে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না বলে জানান জেলেরা। জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, “মোংলায় প্রায় ৩০ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত মাত্র ৬ হাজারের কিছু বেশি। অথচ যোগ্য জেলেই রয়েছে অন্তত ১৫ হাজার। বাকিরা আবেদন করেও কার্ড পাচ্ছে না।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলে।

Update Time : ০৭:০১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

মো: রাজু আহমেদ (স্টাফ রিপোর্টার) নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো জেলে। সাগর, নদী ও সুন্দরবনের বিভিন্ন খালে প্রায় সারা বছর ধরেই কোনো না কোনোভাবে জারি থাকে মাছ ধরার ওপর অবরোধ। ফলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন এসব জেলেরা। উপকূলজুড়ে দীর্ঘ সময়ের এসব নিষেধাজ্ঞা ও সহায়তার সীমাবদ্ধতায় দিন দিন ভেঙে পড়ছে জেলেদের জীবনধারা। জীবিকার পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই পেশা পরিবর্তনের কথা ভাবছেন। জেলেদের অভিযোগ, বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় মাছ ধরা বন্ধ থাকায় আয়ের উৎস শূন্য হয়ে যায় তাদের। নৌকা-জাল বিক্রি করে, ধার-দেনা করে কিংবা অন্যের জমিতে শ্রম বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকেই। মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, “প্রতি বছর জানুয়ারিতে ১৫ দিন এবং ফেব্রুয়ারিতে আরও ১৫ দিন চালানো হয় বিশেষ কম্বিং অপারেশন। এসময় অবৈধ জাল ধরতে অভিযান চলে, তবে জেলেরা কোনো সহায়তা পান না। প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকে। এ সময়টি মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় জেলেদের জাল ফেলা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।” এদিকে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে নিবন্ধিত জেলেরা দুই দফায় সরকারি সহায়তা হিসেবে চাল পান- প্রথম দফায় ৮০ কেজি ও দ্বিতীয় দফায় আরও ৮০ কেজি। কিন্তু এতে পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না বলে জানান জেলেরা। জাতীয় মৎস্যজীবী সমিতির মোংলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ মণ্ডল বলেন, “মোংলায় প্রায় ৩০ হাজার জেলে রয়েছে। এর মধ্যে নিবন্ধিত মাত্র ৬ হাজারের কিছু বেশি। অথচ যোগ্য জেলেই রয়েছে অন্তত ১৫ হাজার। বাকিরা আবেদন করেও কার্ড পাচ্ছে না।”