০২:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোর-খুলনার ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে যৌথ সেনাবাহিনীর উদ্যোগ বাপাউবোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত।

Reporter Name
  • Update Time : ১১:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১ Time View

 যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অঞ্চলের প্রধান নদীগুলো খনন করা হবে, যা জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ​রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত পানি ভবনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। বাপাউবোর পক্ষে স্বাক্ষর করেন যশোর পানি উন্নয়ন সার্কেল, খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক বি. এম. আব্দুল মোমিন, এবং সেনাবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ। ​প্রকল্পের বিস্তারিত ​এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৮১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাঁচটি নদীর পুনঃখনন করা হবে। নদীগুলো হলো: ​হরিহর নদী (৩৫ কিমি) ​হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিমি) ​আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিমি) ​টেকা নদী (৭ কিমি) ​শ্রী নদী (১ কিমি) ​এই পূর্ণ প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ‘অর্পিত ক্রয়কার্য (Delegated Procurement)’ পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এমন একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে রাইজিংবিডি.কম এ। তবে এর সত্যতা যাচাই করা হয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে। ​কার্যক্রম ও প্রত্যাশা ​শুধু নদী খননই নয়, এই প্রকল্পের অধীনে নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ড্রেজ করা মাটি সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পরিবেশবান্ধব খনন নিশ্চিত করতে নদী পাড়ে টার্ফিং ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে। ​অনুষ্ঠানে বাপাউবোর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, “ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন, তদারকি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। এই কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় পরিবর্তন আসবে।” ​অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাপাউবোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর স্টাফ অফিসার-১ (পরিকল্পনা) লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ, যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী, এবং সেনাবাহিনীর প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান। ​এই যৌথ উদ্যোগটি ভবদহ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে, যা এই এলাকার কৃষি ও জনজীবনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

যশোর-খুলনার ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে যৌথ সেনাবাহিনীর উদ্যোগ বাপাউবোর সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত।

Update Time : ১১:৫৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির আওতায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে অঞ্চলের প্রধান নদীগুলো খনন করা হবে, যা জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ​রাজধানীর পান্থপথে অবস্থিত পানি ভবনে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়। বাপাউবোর পক্ষে স্বাক্ষর করেন যশোর পানি উন্নয়ন সার্কেল, খুলনার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক বি. এম. আব্দুল মোমিন, এবং সেনাবাহিনীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মামুন উর রশিদ। ​প্রকল্পের বিস্তারিত ​এই প্রকল্পের আওতায় মোট ৮১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পাঁচটি নদীর পুনঃখনন করা হবে। নদীগুলো হলো: ​হরিহর নদী (৩৫ কিমি) ​হরি-তেলিগাতি নদী (২০ কিমি) ​আপারভদ্রা নদী (১৮.৫ কিমি) ​টেকা নদী (৭ কিমি) ​শ্রী নদী (১ কিমি) ​এই পূর্ণ প্রকল্পের জন্য প্রায় ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী, সেনাবাহিনী ‘অর্পিত ক্রয়কার্য (Delegated Procurement)’ পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এমন একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে রাইজিংবিডি.কম এ। তবে এর সত্যতা যাচাই করা হয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে। ​কার্যক্রম ও প্রত্যাশা ​শুধু নদী খননই নয়, এই প্রকল্পের অধীনে নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, ড্রেজ করা মাটি সংরক্ষণ এবং স্থানীয় জনগণের চলাচলের জন্য রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পরিবেশবান্ধব খনন নিশ্চিত করতে নদী পাড়ে টার্ফিং ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমও হাতে নেওয়া হবে। ​অনুষ্ঠানে বাপাউবোর মহাপরিচালক প্রকৌশলী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, “ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজটি বাস্তবায়ন, তদারকি ও অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে। এই কাজ সম্পন্ন হলে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বড় পরিবর্তন আসবে।” ​অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাপাউবোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, সেনাবাহিনীর স্টাফ অফিসার-১ (পরিকল্পনা) লে. কর্নেল তানভীর আহমেদ, যশোর পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী, এবং সেনাবাহিনীর প্রকল্প কর্মকর্তা মেজর গাজী নাজমুল হাসান। ​এই যৌথ উদ্যোগটি ভবদহ অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এক স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে, যা এই এলাকার কৃষি ও জনজীবনের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে।