খুলনার দাকোপের মাঠ জুড়ে চলছে শুধু তরমুজ চাষ আর তরমুজ চাষ
- Update Time : ০৭:০৭:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১৯৭ Time View

মোঃ ইদ্রিস শেখ ক্রাইম রিপোর্টার খুলনা বিভাগ
খুলনার উপকূলীয় অঞ্চল দাকোপে তরমুজ চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণীরা। কেউ বীজতলা প্রস্তুত করছেন, কেউ কেউ রোপণ করছেন, আবার কেউ কেউ পানি সেচ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। দম ফেলার সময় নেই তাদের। সার, কীটনাশক, শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি নিয়ে চিন্তিত তারা। গত বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হাওয়ায় এবছর তরমুজ চাষে বেশি আগ্রহ নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। তরমুজ মৌসুমে ক্ষেতগুলোতে এলাকার শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ মেলে এতে খুশি স্থানীয় শ্রমিকরা। দাকোপ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, বাজুয়া, দাকোপ, লাউডোব, কৈলাশগঞ্জ, বানিশান্তা ও চালনা সদর ইউনিয়নে চলতি তরমুজ মৌসুমে ব্যাপক হারে তরমুজ চাষ চলছে। লাউডোব ইউনিয়নের খুটাখালি গ্রামের তরমুজ চাষী বাবুরাম সরদার বলেন, বাম্পার ফলনের আশায় ধার দেনা করে এ বছর ৬ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করিতেছি। কেবল তরমুজের ছোট ছোট পাতা বের হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলন হবে। এতে আমি লাভবান হবো। একই বিলের কৃষক প্রসেন বলেন, আমি প্রতিবছর তরমুজ চাষ করি এ বছরও ৫ বিঘা জমিতে তরমুজ লাগাচ্ছি কেবল ছোট ছোট পাতা বের হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গতবছরের তুলনায় এবার খরচ অনেক বেশি পড়তেছে শ্রমিকের দাম ও জিনিসপত্রের দাম বেশি থাকার কারণে।বাজুয়া গ্রামের কৃষক শ্রীকান্ত মনডল বলেন, আমি এ বছর ১৭ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করিতেছি। তরমুজের বীজ রোপণ শেষ করেছি কেবল পাতা বের হচ্ছে। কৈলাশ গঞ্জ ইউনিয়নের হরিণ টানা গোলের খাল গ্রামের কৃষক শংকর বলেন, লেখাপড়া শেষ করে সরকারি চাকরি পায়নি। তাই কৃষি কাজ করে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে আছি। তিনি আরও বলেন, আমি এ বছর ১০ বিঘা জমিতে তরমুজ লাগাচ্ছি। বীজ রোপণ করেছি এখনও চারা বের হয়নি। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষকদের জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে, কৃষকেরা ড্রাগন, ড্রাগন সুপার, আস্থা, আস্থা প্লাস, পাকিজা, মালিক-১, এশিয়া সুপার, থাই রেড কিং, বিগ সুপার কিং ও বাংলালিংক জাতের তরমুজ চাষ করছে। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে প্রতি হেক্টর জমিতে ৫০ থেকে ৬০ মেট্রিক টন ফলন হতে পারে। তরমুজ চাষে কৃষকদের হেক্টর প্রতি খরচ হয় দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।’দাকোপ উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম বলেন, তরমুজ একটি লাভজনক ফসল। গতবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হওয়ায় এবছর গতবারের তুলনায় বেশি জমিতে তরমুজ চাষ হচ্ছে। আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত অনুকূলে থাকলে এবছর তরমুজের বাম্পার ফলন হবে।তিনি আরও বলেন, কৃষি কর্মকর্তারা রাত দিন পরিশ্রম করে সকল কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে এবং সবসময় তাদের পাশে আছে।
























