০৭:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যশোরে কৃষক শহিদুল ইসলাম হত্যাকান্ডে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা।

Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • / ৬৯ Time View

মোঃ সাচচু মোল্লাঃ-

যশোর সদর উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে কৃষক শহিদুল ইসলামকে মারপিটে হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে আহাদ হুসাইন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন। আসামিরা হলো, একই গ্রামের নূর ইসলামের তিন ছেলে ইকলাচ হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৪০) এবং রাসেল (২৬) ও আলী বক্সের ছেলে আলীম (৪০)।

আসামিদের মধ্যে তিন ভাই ইকলাচ, বিল্লাল ও রাসেলকে গত শনিবারই ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পলাতক আসামি আলিমকে আটকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এজাহারে আহাদ উল্লেখ করেছেন, তার পিতা শহিদুল ইসলাম গ্রামের তেতুল বাড়িয়া মাঠে শাক সবজি রোপন করে। আসামি ইকলাচ তার পিতার জমির ওপর দিয়ে ড্রেন কেটে তার জমিতে পানি নিয়ে যায়। কিন্তু পানিতে তার পিতার জমির শাক সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে তার বাবা ওই ড্রেন বন্ধ করে দেন। এবং ইকলাচকে জানানো হয় পাইপ দিয়ে পানি নিয়ে যাওয়ার জন্য। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে এই নিয়ে তার পিতার সাথে ইকলাচের কথাকাটাকাটি হয়। সে সময় বাকি তিন আসামি সেখানে চলে যান। তার পিতাকে গালিগালাজ করে। তার পিতা গালি দিতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয় কুদাল দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে জখম করে। অন্য আসামিরা মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি ও লাথি মারে। এক পর্যায়ে তার পিতা অজ্ঞাত হয়ে যান। সে সময় তার মাথায় পানি ঢালা হলেও তার জ্ঞান ফেরেনি। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মৃতঃ ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর পুলিশকে সংবাদ দেয়া হলে পুলিশ ওই মাঠে গিয়ে তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, ঘটনার পরপরই তিনআসামিকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বিকার করেছেন। এছাড়া পলাতক আলীমকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

যশোরে কৃষক শহিদুল ইসলাম হত্যাকান্ডে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা।

Update Time : ১২:৫১:৩০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

মোঃ সাচচু মোল্লাঃ-

যশোর সদর উপজেলার যোগীপাড়া গ্রামে কৃষক শহিদুল ইসলামকে মারপিটে হত্যার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ছেলে আহাদ হুসাইন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলাটি করেছেন। আসামিরা হলো, একই গ্রামের নূর ইসলামের তিন ছেলে ইকলাচ হোসেন (৩৫), বিল্লাল হোসেন (৪০) এবং রাসেল (২৬) ও আলী বক্সের ছেলে আলীম (৪০)।

আসামিদের মধ্যে তিন ভাই ইকলাচ, বিল্লাল ও রাসেলকে গত শনিবারই ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ। পলাতক আসামি আলিমকে আটকে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

এজাহারে আহাদ উল্লেখ করেছেন, তার পিতা শহিদুল ইসলাম গ্রামের তেতুল বাড়িয়া মাঠে শাক সবজি রোপন করে। আসামি ইকলাচ তার পিতার জমির ওপর দিয়ে ড্রেন কেটে তার জমিতে পানি নিয়ে যায়। কিন্তু পানিতে তার পিতার জমির শাক সবজি নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বাধ্য হয়ে তার বাবা ওই ড্রেন বন্ধ করে দেন। এবং ইকলাচকে জানানো হয় পাইপ দিয়ে পানি নিয়ে যাওয়ার জন্য। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে এই নিয়ে তার পিতার সাথে ইকলাচের কথাকাটাকাটি হয়। সে সময় বাকি তিন আসামি সেখানে চলে যান। তার পিতাকে গালিগালাজ করে। তার পিতা গালি দিতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয় কুদাল দিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারপিট করে জখম করে। অন্য আসামিরা মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি ও লাথি মারে। এক পর্যায়ে তার পিতা অজ্ঞাত হয়ে যান। সে সময় তার মাথায় পানি ঢালা হলেও তার জ্ঞান ফেরেনি। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মৃতঃ ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর পুলিশকে সংবাদ দেয়া হলে পুলিশ ওই মাঠে গিয়ে তিন ভাইকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ কাজী বাবুল বলেন, ঘটনার পরপরই তিনআসামিকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার বিষয়টি স্বিকার করেছেন। এছাড়া পলাতক আলীমকে আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।