কুষ্টিয়া কলেজ মোড়ে পুনরায় দোকান নির্মাণে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে মানববন্ধন
- Update Time : ০৬:৫৬:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮ Time View

জিলহজ খান স্টাফ রিপোর্টার: কুষ্টিয়া শহরের ব্যস্ততম এলাকাগুলোর একটি কলেজ মোড়ে অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের কাজ চলছে নিরবচ্ছিন্নভাবে, এমনকি রাতের আঁধারেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা ও সরকারি জমি সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে এই নির্মাণকাজ পরিচালিত হচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষের নীরব সমর্থনে। সরকারি জমি দখলের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কলেজ মোড় এলাকার যে স্থানে দোকান নির্মাণ হচ্ছে, সেটি সরকারি জমি হিসেবে রেকর্ডভুক্ত। কয়েক মাস আগে যানজট নিরসনের লক্ষ্যে ওই জায়গা থেকে পুরনো অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সেই স্থানেই নতুন করে টিনশেড দোকান তোলা হচ্ছে। রাতে চলছে নির্মাণকাজ স্থানীয় জনগণ ও পথচারীরা জানিয়েছেন, দ্রুত এই অবৈধ স্থাপনা নির্মানের কাজ শেষ করতে দিনে ও রাতে উভয় সময়েই চলছে টিন, রড, বালু-সিমেন্টের কাজ। একাধিক শ্রমিক প্রতিদিন রাতভর দোকানের কাঠামো তৈরিতে ব্যস্ত থাকে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রকাশ্যে এভাবে সরকারি জমি দখল করে কিভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা যায় এটা আমরা সবাই জানি। ৬ কোটি টাকা চাঁদার বিনিময়ে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মান হচ্ছে। এই টাকা কারা নিয়েছে স্থানীয় জনগণ সবায় জানে। পৌরসভা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া সরকারি জায়গায় এমন কাজ সম্ভব নয়।” প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ অভিযোগ উঠেছে, কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মিজানুর রহমান এই অবৈধ নির্মাণকাজে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। স্থানীয়দের দাবি, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে দোকান নির্মাণের অনুমতি দিয়েছেন। একজন রাজনৈতিক কর্মী বলেন, যেখানে সাধারণ মানুষ একটি দেয়াল তুললে ভেঙে ফেলা হয়, সেখানে সরকারি জায়গায় পুরো দোকানপট্টি গড়ে উঠছে প্রশাসনের চোখের সামনে। এটা প্রশাসনের ছত্রছায়া ছাড়া সম্ভব নয়।” নীরব পৌরসভা ও প্রশাসন এ বিষয়ে পৌরসভার কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “আমরা বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে দেখা হবে কে বা কারা এর পেছনে জড়িত। তবে ৬ কোটি টাকার লেনদেন এর খবর ভিত্তিহীন। সর্বোচ্চ ৩-৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আমাকে ৪০ হাজার টাকা ভাগ দিতে চেয়েছিল, এতো কম টাকা অফার করায় আমি নিতে অস্বীকার করি” নাগরিকদের দাবি কুষ্টিয়া শহরের নাগরিক সমাজ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে সরকারি সম্পদ দখলের অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে এবং এতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
























