কেশবপুরে জামায়াতে ইসলামী’র উদ্যোগে বন্যাদুর্গত পরিবারের মাঝে ফুডপ্যাক বিতরণ

- Update Time : ০১:৪৬:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৩৮ Time View

মাহাবুর রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুর উপজেলার ৭নং পাঁজিয়া ইউনিয়ন ও ৮নং সুফলাকাটি ইউনিয়নের বন্যাদুর্গত পানিবন্দী পরিবারের মাঝে ফুডপ্যাক (খাদ্য সামগ্রী) বিতরণ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর উপজেলা শাখা। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ইউনিয়ন টিম সদস্য ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীলদের উপস্থিতিতে এসব ফুডপ্যাক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেশবপুর উপজেলা জামায়াতের আমীর ও যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মোক্তার আলী।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কর্মপরিষদের সদস্য কৃষিবিদ তাজামুল ইসলাম দীপু, পাঁজিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মাসউদ কামাল, সেক্রেটারি মো. জাকির হোসেন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইউনুস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমির হামজা, যুব বিভাগের সভাপতি মো. তৌহিদুজ্জামান, সুফলাকাটি ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মো. আবুল কাসেম আলী, অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, ওলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ কাজী হেলাল, যুব ও মিডিয়া সম্পাদক মামুন হোসেন রনি সহ ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে অধ্যাপক মোক্তার আলী বলেন ,
“আমরা শুধু মানবিক দায়িত্ববোধ থেকেই আপনাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। মানুষ কেবল নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত আদায় করলেই জান্নাতে যাবে না—মানবিক কাজেরও গুরুত্ব রয়েছে। অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সাহায্য করাও ইবাদতের অংশ। এই সচেতনতাবোধ থেকেই আমরা আপনাদের কাছে সামান্য উপহার নিয়ে এসেছি।”
কৃষিবিদ তাজামুল ইসলাম দীপু বলেন,
“আমরা কেশবপুরের মানুষের অতিথি হয়ে এসেছি। আমাদের এই সামান্য উপহার আপনারা গ্রহণ করবেন বলে আশা রাখি। আগামীতে যদি অধ্যাপক মোক্তার আলী এমপি নির্বাচিত হতে পারেন, ইনশাআল্লাহ আরও ব্যাপক পরিসরে সহযোগিতা করা হবে।”
বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সবসময় জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ডে পাশে থেকেছে। গরিব-অসহায় মানুষের সহযোগিতা, রাস্তা-ঘাট মেরামত, ঘরহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ, রোগগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে সংগঠনটি।
আলোচনা শেষে পাঁজিয়া ও সুফলাকাটি ইউনিয়নের প্রায় ২০০ পরিবারের মাঝে ফুডপ্যাক বিতরণ করা হয়। প্রতিটি ফুডপ্যাকে ছিল—চাল, আলু, তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, লবণ ও শুকনা মরিচসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী।