৯নং নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে, এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও বসন্ত উৎসব পালিত হল।।
- Update Time : ১১:১৩:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
- / ৬৩ Time View

কোলকাতা প্রতিনিধিঃ-
আজ ১২ই মার্চ বুধবার, তৃতীয়তম বর্ষে পদার্পণ করল এই বসন্ত উৎসব ও শোভাযাত্রা, ঠিক সকাল আটটায় বরানগর বারুই পাড়া গণেশ ফ্ল্যাট সংলগ্ন হইতে, এক সুন্দর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন ও বসন্ত উৎসব পালিত হলো, এই শোভাযাত্রা শুরু হয় বারুইপাড়া থেকে বিদ্যামন্দির হয়ে কালীতলা মাঠ, বরানগর পৌরসভা, বনহুগলী হাই স্কুল হয়ে পুনরায় বারুইপাড়া এসে সমাপ্ত হয়। এই শোভাযাত্রাটি পরিচালনা করেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরপিতা সি আই সি সদস্য বরানগর পৌরসভার শ্রীরামকৃষ্ণ পাল। এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পৌর মাতা সরমা পাল।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা সুধাংশু আওন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর পিতা জয়ন্ত রায়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর মাতা নিলু গুপ্তা, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক সত্যেন জানা, হাইকোর্টের বিচারক তনেন ব্যানার্জি, মোহন পাইদা, প্রদীপ দাস, মানু নাথ ,গোপাল ঘোষ, সৌরভ, রুমা দে, তামসী ভট্টাচার্য, শীলা দেবনাথ, গৌরী বিশ্বাস , ইন্দ্রানী মিত্র, পূজা সহ পৌরসভার সকল সদস্যবৃন্দ এবং মহিলা ও এলাকার শিশুরা।
এই শোভাযাত্রা শুরু হয় সুন্দর নৃত্য ও বক্তৃতার মধ্য দিয়ে, অংশগ্রহণ করেন ছোট বড় নৃত্যশিল্পীরা, এবং বসন্তের আহবানে সারা শোভাযাত্রা জুড়ে রঙিন আবীরে মাতোয়ার সকলে, একে অপরকে আবির মাখিয়ে বসন্তকে মনে করিয়ে দেয়, সাথে বেজে উঠে রবীন্দ্রনাথের বেশ কয়েকটি গান। তারপরেই পুনরায় রং মেখে দোলে মাতোয়ারা হবে।
তবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায়, চেষ্টা করেছেন শান্তিপূর্ণভাবে শোভাযাত্রা করার মাইকের সুর কমিয়ে গানের তালে তালে পদ পরিক্রমা করেছেন, জাতে পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের বিঘ্ন না ঘটে,সেই দিকটাও নজরের মধ্যে রেখেছিলেন, দেখতে দেখতে তিন বছরে পদার্পণ করল এই বসন্ত উৎসব। বসন্ত উৎসব মানেই রঙিন আবীরে ভেসে যাওয়া, তার সাথে সাথে একে অপরকে নৃত্যের সাথে সাথে মাতিয়ে তুলল।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে, উদ্যোক্তা জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, তাই এবারে আমরা ছোট্ট করে এই শোভাযাত্রা করেছি, যাতে পরীক্ষার্থীর কোনরকম অসুবিধা না হয়, আর তার সাথে সাথে সকল উচ্চ মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের আমরা শুভেচ্ছা জানাই পরীক্ষা ভালো হোক, এই বছর অনেকেই হয়তো রঙে রঙিন হয়ে উঠতে পারবেনা পরীক্ষা থাকায়। কিছুটা তাদের মধ্যেও হয়তো দুঃখ রয়ে যাবে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ

























