০৫:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার এর মহেশখালীতে  র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অ*স্ত্র উ*দ্ধার, কারখানা ধ্বং*স

Reporter Name
  • Update Time : ১০:০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ১৭ Time View

 

মোবারক হোসাইন, কক্সবাজার প্রতিনিধি

 

 

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া ও আঁধার ঘোনা পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অ*স্ত্র তৈরির একাধিক ভ্রাম্যমাণ কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বেশ কিছু অ-স্ত্র উদ্ধারসহ কয়েকজনকে আ-টক করেছে র‌্যাব। অভিযানে কয়েকটি অ-স্ত্র কারখানা ধ্বং-স করে দেওয়া হলেও এখনও পাহাড়ের গহীনে আরও কারখানা অ-ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দাবি, চারদিকে সাগরবেষ্টিত হওয়ায় একপ্রান্তে অভিযান শুরু হলে স-ন্ত্রাসী ও অ-স্ত্র কারিগররা অন্যপ্রান্তে পালিয়ে যায়। ফলে পুরো পাহাড়জুড়ে চিরুনি অভিযান চালালেই এই অ-বৈধ অ-স্ত্র কারখানাগুলো সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

অভিযানে শতাধিক র‌্যাব সদস্য ছাড়াও পুলিশ অংশ নেয়। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ক্যাম্পের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান চলাকালে বি-স্ফোরণের মতো শব্দও শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, “অভিযান এখনও চলছে, প্রাথমিকভাবে বেশ সাফল্য এসেছে। মূল অভিযান শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।”

জুলাই অভ্যুত্থানে নি-হত শ-হীদ তানভীর ছিদ্দিকির বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বর জানান, “আমার ভাই শহীদ তানভীর ও চাচা তোফায়েল হত্যার আ-সামীরা গ-ডফাদার তারেক, নোমান, লম্বা তারেক ও কালাবদার ফকিরজুম পাড়া, নোনাছড়ি গোদার পাড়া ও আঁধার ঘোনা পাহাড়ে টংঘর তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে অ-স্ত্রের কারখানা গড়ে তুলেছিল। অবশেষে র‌্যাব তাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান শুরু করেছে।”

অভিযানকে ঘিরে পুরো দ্বীপজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের আশা, এ ধরণের ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে গেলে মহেশখালীর অ-স্ত্র কারখানা ও স-ন্ত্রাসী আ-স্তানা চিরতরে উ-চ্ছেদ হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

কক্সবাজার এর মহেশখালীতে  র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে বিপুল অ*স্ত্র উ*দ্ধার, কারখানা ধ্বং*স

Update Time : ১০:০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

মোবারক হোসাইন, কক্সবাজার প্রতিনিধি

 

 

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ফকিরজুম পাড়া ও আঁধার ঘোনা পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ অ*স্ত্র তৈরির একাধিক ভ্রাম্যমাণ কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে শুরু হওয়া অভিযানে বেশ কিছু অ-স্ত্র উদ্ধারসহ কয়েকজনকে আ-টক করেছে র‌্যাব। অভিযানে কয়েকটি অ-স্ত্র কারখানা ধ্বং-স করে দেওয়া হলেও এখনও পাহাড়ের গহীনে আরও কারখানা অ-ক্ষত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের দাবি, চারদিকে সাগরবেষ্টিত হওয়ায় একপ্রান্তে অভিযান শুরু হলে স-ন্ত্রাসী ও অ-স্ত্র কারিগররা অন্যপ্রান্তে পালিয়ে যায়। ফলে পুরো পাহাড়জুড়ে চিরুনি অভিযান চালালেই এই অ-বৈধ অ-স্ত্র কারখানাগুলো সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব হবে।

অভিযানে শতাধিক র‌্যাব সদস্য ছাড়াও পুলিশ অংশ নেয়। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ক্যাম্পের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। অভিযান চলাকালে বি-স্ফোরণের মতো শব্দও শোনা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

র‌্যাবের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, “অভিযান এখনও চলছে, প্রাথমিকভাবে বেশ সাফল্য এসেছে। মূল অভিযান শেষ হওয়ার পর বিস্তারিত জানানো হবে।”

জুলাই অভ্যুত্থানে নি-হত শ-হীদ তানভীর ছিদ্দিকির বড় ভাই মিজানুর রহমান মাতাব্বর জানান, “আমার ভাই শহীদ তানভীর ও চাচা তোফায়েল হত্যার আ-সামীরা গ-ডফাদার তারেক, নোমান, লম্বা তারেক ও কালাবদার ফকিরজুম পাড়া, নোনাছড়ি গোদার পাড়া ও আঁধার ঘোনা পাহাড়ে টংঘর তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে অ-স্ত্রের কারখানা গড়ে তুলেছিল। অবশেষে র‌্যাব তাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযান শুরু করেছে।”

অভিযানকে ঘিরে পুরো দ্বীপজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের আশা, এ ধরণের ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে গেলে মহেশখালীর অ-স্ত্র কারখানা ও স-ন্ত্রাসী আ-স্তানা চিরতরে উ-চ্ছেদ হবে।