০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনামঃ
পর্যটন নগরি কক্সবাজারের জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে।

Reporter Name
- Update Time : ০৬:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ৫ Time View

মোবারক হোসাইন আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস। দেশের পর্যটন রাজধানী হিসেবে খ্যাত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার। বিশ্বের দার্শনিকের মতে বাংলাদেশের কক্সবাজার সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর স্থান। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাস্তবতার কোনো মিল নেই। অপরিকল্পিত বর্জ্য স্থাপনার কারণে এই শহরে স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যাচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। সুস্থ পরিকল্পনা ও নির্দিষ্ট ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপের স্থাপনা, অযত্ন – অবহেলা এবং নাজুক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকা এখন আবর্জনা স্থান হিসেবে গড়ে ওঠে। চৌফলদণ্ডী থেকে শুরু করে পুরো কক্সবাজার শহর খুরুশকুল সেতু, বার্মিজ মার্কেট এলাকা, লালদীঘি ও গোলদীঘি পাড়সহ অনেক স্থানে ময়লার স্তূপ সৃষ্টি হয়ে চলাচলে ভূগান্তি বাড়াচ্ছে স্থানীয়র ও বাসিন্দা পর্যটকদের। বিশেষ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু করে বাংলা বাজার বাঁকখালী সেতু পর্যন্ত রাস্তায় ময়লা আবর্জনা ও পানি জমে থাকায় যান চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। বাঁকখালী নদীর ওপর নির্মিত খুরুশকুল সেতু যেখানে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। সেখানে কক্সবাজার পুরো শহরের ময়লা আবর্জনা গুলো নিয়ে এসে সেতুর একপাশে জমিয়ে রাখে। অপর পাশে রয়েছে ফিশারিজ প্রজেক্ট, খেজুর বাগান, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প, চৌফলদণ্ডী ব্রিজ ও কক্সবাজার বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এলাকাবাসী জানান, পৌরসভার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা নিয়মিতভাবে বর্জ্য সংগ্রহ না করায় সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠেছে। তারা আরও বলেন, কক্সবাজার একটি পর্যটন নগরী।এখানে রয়েছে দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও ৫ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও কটেজ। এই পরিবেশকে রক্ষা করতে হলে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসা উচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কক্সবাজারের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতকে বাঁচাতে হলে দ্রুত কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিতে হবে।
Tag :