মণিরামপুর হাসপাতালে গর্ভবতী নারীদের আস্থার প্রতীক ডা. ডায়না।

- Update Time : ০৬:৫৩:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / ১৩ Time View

সাধারণত মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা নিয়ে নানা সময়ে নেতিবাচক খবর প্রকাশ হলেও, ব্যতিক্রমী এক আস্থার গল্প উঠে এসেছে গাইনি চিকিৎসক ডা. দিলরুবা ফেরদৌস ডায়নার সেবাকে কেন্দ্র করে। হাসপাতালের গেট থেকে শুরু করে জরুরি বিভাগ, ওয়ার্ড, প্যাথলজিসহ বিভিন্ন ইউনিটের সেবা নিয়ে যখন রোগীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা যায়, তখন ডা. ডায়নার আন্তরিক সেবা গর্ভবতী নারীদের জন্য হয়ে উঠেছে শতভাগ নির্ভরতার আশ্রয়। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনি) হিসেবে কর্মরত ডা. দিলরুবা ফেরদৌস ডায়না শুধুমাত্র রোগী বা সাধারণ মানুষের কাছেই নয়, সহকর্মী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছেও সমানভাবে প্রশংসিত। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের এই চিকিৎসকের প্রতি রয়েছে সবার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তার দক্ষ ও ত্রুটিমুক্ত সেবার কারণে তিনি ইতিমধ্যে একাধিকবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন এবং পুরস্কৃত হয়েছেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে মণিরামপুর হাসপাতালে যোগদানের পর থেকেই ডা. ডায়না তার পেশাগত দক্ষতার প্রমাণ দিয়ে চলেছেন। সরকারিভাবে চালু হওয়া দেশের প্রথম ও সফল বৈকালিক চেম্বারে তিনিই প্রথম জরুরি সিজারিয়ান অপারেশনটি সম্পন্ন করেন। এই অপারেশনের মাধ্যমে তিনি এক প্রসূতি ও তার নবজাতকের জীবন রক্ষা করেন। তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ এপ্রিল প্রসব বেদনায় কাতর মাহমুদকাঠি গ্রামের উম্মে হাবিবা নামের এক প্রসূতির জরুরি সিজারিয়ানের প্রয়োজন হলে ডা. ডায়না দ্রুত অপারেশনটি সম্পন্ন করেন। তার দক্ষ হাতে পরিচালিত এই অপারেশনের ফলে মা ও নবজাতক উভয়েই সুস্থ থাকেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে পরবর্তীতে উম্মে হাবিবা ও তার স্বজনেরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ডা. ডায়নার নিখুঁত অস্ত্রোপচারের হাত নিয়ে তার প্রাক্তন সহকর্মী ও সাবেক পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. তন্ময় বিশ্বাসও প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান, প্রসবপূর্ব যত্ন, পরিবার পরিকল্পনা এবং গাইনি ও প্রসূতি বিদ্যা বিষয়ক সেবায় ডা. ডায়না নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করেছেন। রুমি নামের এক রোগী, যিনি ডা. ডায়নার কাছে অপারেশন করিয়েছেন, তিনি বলেন, “তিনি একজন অসাধারণ ডাক্তার। তার ব্যবহার খুবই ভালো এবং তার সেবায় আমি সন্তুষ্ট।” রুমির মতো অসংখ্য রোগী ডা. ডায়নার আন্তরিক ব্যবহার এবং উন্নত চিকিৎসা সেবার প্রশংসা করেছেন। এ বিষয়ে ডা. দিলরুবা ফেরদৌস বলেন, “সৃষ্টিকর্তার পর ডাক্তারকে সবাই আস্থার স্থল হিসেবে দেখে। মানুষের সেবা করতে পারাটাই আমার কাছে বড় অর্জন। আমি জানি, কেউ সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত নয়, তবে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করি যেন আমার সেবায় কোনো ঘাটতি না থাকে।” মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ফয়েজ আহম্মেদ ফয়সাল বলেন, “ডা. ডায়নার এই অর্জন আমাদের হাসপাতালের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার অভিজ্ঞতায় তার মতো একজন দক্ষ গাইনি চিকিৎসকের কোনো তুলনা হয় না। মণিরামপুর উপজেলার জন্য তার উপস্থিতি সত্যিই একটি সৌভাগ্যের।