০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডাক্তার না হয়েও করতেন অপেরেশন গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে আটক

Reporter Name
  • Update Time : ০৮:৪১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৭৭ Time View

 

মাহাবুর রহমান, কেশবপুর -যশোর

যশোর জেলার কেশবপুর পৌরসভাস্থ হাসপাতাল রোডে অবস্থিত যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এই ক্লিনিকে দীর্ঘ দিন ধরে এমনকি বিভিন্ন হাসপাতালে বড় ধরনের অপেরেশন করতেন ডাক্তার মোঃ ফিরোজ কবির। ডাঃ ফিরোজ কবির, পিতা- মৃত নুর মোহাম্মদ ফারুকি, রামপাল, বাগেরহাট বাসা। বর্তমান ঠিকানা -কেশবপুর পৌরসভাস্ত,এক নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া রোডস্থ আব্দুল হামিদুজ্জামান এর বাসায় ভাড়া থাকে (হামিদ প্যাথলজি) এরমালিক। রোগী হার্নিয়া আক্রান্ত মোঃ লুৎফর রহমান, পিতা- জব্বার সানা, থানা- কেশবপুর, জেলা-যশোর । শনিবার রাত ১০ দিকে অপারেশনকালে হাতেনাতে আটক করা হয়। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ডাঃ ফিরোজ কবির ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স (ম্যাটস) সম্পন্ন করা একজন ডাক্তার। তিনি উপ -সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কেশবপুর উপজেলার ০২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চাকরি করেন। তিনি একজন এমবিবিএস ডাক্তার না হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসলে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন এর নির্দেশনায় ০৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম উক্ত ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ডাক্তারকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) হাতেনাতে আটক করেন। অভিযান পরিচালনা করেন, জাকারিয়া অসীম এনস্তেসিয়া, ডাঃ ডালিম, ডাঃ সমরেশ, ডাঃ ইমদাদ হোসেন। পরবর্তীতে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাপূর্বক তাকে দুই মাস কারাভোগের সাজা দেন এবং তাকে গ্রেফতারপূর্বক কেশবপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। এছাড়া বর্ণিত রোগীকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। রোগীর বর্তমান অবস্থা আশংকামুক্ত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

ডাক্তার না হয়েও করতেন অপেরেশন গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তে আটক

Update Time : ০৮:৪১:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মাহাবুর রহমান, কেশবপুর -যশোর

যশোর জেলার কেশবপুর পৌরসভাস্থ হাসপাতাল রোডে অবস্থিত যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এই ক্লিনিকে দীর্ঘ দিন ধরে এমনকি বিভিন্ন হাসপাতালে বড় ধরনের অপেরেশন করতেন ডাক্তার মোঃ ফিরোজ কবির। ডাঃ ফিরোজ কবির, পিতা- মৃত নুর মোহাম্মদ ফারুকি, রামপাল, বাগেরহাট বাসা। বর্তমান ঠিকানা -কেশবপুর পৌরসভাস্ত,এক নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া রোডস্থ আব্দুল হামিদুজ্জামান এর বাসায় ভাড়া থাকে (হামিদ প্যাথলজি) এরমালিক। রোগী হার্নিয়া আক্রান্ত মোঃ লুৎফর রহমান, পিতা- জব্বার সানা, থানা- কেশবপুর, জেলা-যশোর । শনিবার রাত ১০ দিকে অপারেশনকালে হাতেনাতে আটক করা হয়। তথ্য সূত্রে জানা যায়, ডাঃ ফিরোজ কবির ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স (ম্যাটস) সম্পন্ন করা একজন ডাক্তার। তিনি উপ -সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কেশবপুর উপজেলার ০২নং সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চাকরি করেন। তিনি একজন এমবিবিএস ডাক্তার না হওয়া সত্ত্বেও দীর্ঘদিন যাবৎ কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগের নজরে আসলে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন এর নির্দেশনায় ০৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি মেডিকেল টিম উক্ত ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত ডাক্তারকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) হাতেনাতে আটক করেন। অভিযান পরিচালনা করেন, জাকারিয়া অসীম এনস্তেসিয়া, ডাঃ ডালিম, ডাঃ সমরেশ, ডাঃ ইমদাদ হোসেন। পরবর্তীতে কেশবপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ শরীফ নেওয়াজ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাপূর্বক তাকে দুই মাস কারাভোগের সাজা দেন এবং তাকে গ্রেফতারপূর্বক কেশবপুর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন। এছাড়া বর্ণিত রোগীকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। রোগীর বর্তমান অবস্থা আশংকামুক্ত।